করোনা আতঙ্কের মধ‍্যেই বাঘের আতঙ্ক : ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের

19th May 2021 1:11 pm বাঁকুড়া
করোনা আতঙ্কের মধ‍্যেই বাঘের আতঙ্ক : ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  গতকাল রাতে পাত্রসায়ের বাজিতপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে নেকড়ে বাঘ|এমনটাই দাবি করেছেন বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ শরিফ উদ্দিন| তিনি গতকাল রাতে ঝড় বৃষ্টির পর নিজের বাড়িতে দরজা জানলা খুলে ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় অতর্কিতভাবে হামলা করে একটি নেকড়ে বাঘ|

শেখ শরিফ উদ্দিন জানান যে গতকাল রাত্রের বেলায় ঝড় বৃষ্টির পরে আমি জানলা দরজা খুলে শুয়ে ছিলাম ইলেকট্রিক না থাকার কারণে, হঠাৎই একটি নেকড়ে বাঘ আমার ওপর চড়াও হয়, তারপর আমি চিৎকার করতে থাকে আমার সেই চিৎকারে বাঘটি ভয়ে পালিয়ে যায়| পরে গ্রামবাসীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে

বাঘের আক্রমন কে কেন্দ্র করে বাজিত পুর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে|  গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন রাতের বেলায় হঠাৎই শরিফ উদ্দিনের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি | দেখি ক্ষতবিক্ষত হয়ে শরিফ উদ্দিন রয়েছে|  আমরা তাঁকে নিয়ে পাত্রসায়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করি| তারা আরো জানান এই মুহূর্তে আমরা ভীষণ আতঙ্কিত রয়েছি|বনদপ্তর ড়াতাড়ি এই প্রাণীটিকে ধরার ব্যবস্থা করুক|

এ বিষয়ে পাত্রসায়ের এর বনদপ্তরের আধিকারিক জানান এখনো পর্যন্ত নেকড়ে বাঘ আমাদের চোখে পড়েনি তবে এটা হয়না বা হুরাল জাতীয় প্রাণী বলেই মনে হচ্ছে|তিনি আরো বলেন গ্রাম বাসীদের আতঙ্ক হবার কিছু নেই আমরা গ্রামের জন্য সার্চলাইট ব্যবস্থা করব এবং আমাদের পেট্রলিং ভ্যান থাকবে| গ্রামবাসীদের তিনি সজাগ থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন| এবং আহত ব্যক্তির  সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাহায্য পাবেন বলে তিনি জানান





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।